১৯ জুলাই বাবা তাজল কালের সঙ্গে পবিত্র জুমার নামাজ পড়তে বের হয়েছিল মোস্তফা জামান ওরফে সমুদ্র (১৭)। নামাজ শেষে রাজধানীর রামপুরায় ভাড়া বাসায় ফিরে যান বাবা। মোস্তফা জানিয়েছিল, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফিরবে। কয়েক ঘণ্টা পর সে বাড়ি ফিরেছে ঠিকই; তবে জীবিত নয়, লাশ হয়ে। পরিবারের দাবি, কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মোস্তফা নিহত হয়েছে।
পরিস্থিতি কিছুটা সামলে নিয়ে মোস্তফার মা মাসুদা জামান বলেন, ‘সেদিন (১৯ জুলাই) বাবা-ছেলে একসঙ্গে নামাজে বেরিয়েছিল। বরাবরের মতো ওর বাবা এক মসজিদে, পাশে আরেকটি মসজিদে বন্ধুদের সঙ্গে ছিল মোস্তফা। নামাজ শেষে ওর বাবা বাড়িতে চলে আসে। মোস্তফাকে সেদিন বেলা পৌনে তিনটার দিকে ফোন করে বাড়িতে আসতে বলেছিলাম। ও বলেছিল, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা শেষে দুই মিনিট পর বাড়ি চলে আসবে। ছেলে বাড়ি না ফেরায় সাড়ে তিনটার দিকে আবারও ফোন করি। সে সময় আরাফাত নামের এক ছেলে ফোন ধরে বলল, মোস্তফা দূরে আছে, কাজ করছে। বিকেল চারটার দিকে আবারও ফোন করি, তখন আরাফাত জানায়, মোস্তফার গুলি লেগেছে। তাকে রামপুরার ডেলটা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’
সূত্র- প্রথম আলো, মা বললেন, গুলি এসে মোস্তফার হাত ভেদ করে পাঁজরে ঢুকে পড়ে (Archived)