দেশের সেবা করার স্বপ্ন ছিল আহাদের। এ জন্যে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে সে স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলো তার।
তবে শেষ পর্যন্ত দেশের জন্যই শহিদ হলেন আব্দুল আহাদ আলী।
জেলার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের বাসিন্দা ইউনুস আলী ও পাখি খাতুন দম্পতির পুত্র আব্দুল আহাদ আলী (১৮) দুই ভাইয়ের মধ্যে বড়। স্থানীয় আমিনুর রহমান ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগের প্রথম বষের্র ছাত্র ছিলেন তিনি। গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে মহম্মদপুর থানার সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তার মৃত্যুতে থমকে গেছে ভ্যান চালক পিতার দিন বদলের স্বপ্ন।
আব্দুল আহাদের পিতা ইউনুস আলী বাসসকে জানান, ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বেলা ১১টার দিকে মহম্মদপুর আমিনুর রহমান ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়। ওই মিছিলে তার ছেলে আব্দুল আহাদ আলীও অংশ নেন। পুলিশ প্রথমে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং পাঁচজন ছাত্রকে আটক করে মহম্মদপুর থানায় নিয়ে য়ায়। এর প্রতিবাদে ছাত্ররা আবার সংগঠিত হয়ে দলবদ্ধভাবে মিছিল নিয়ে থানায় আটকে থাকা ৫ জন ছাত্রকে ছাড়িয়ে আনতে সেখানে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার সময় থানার কাছাকাছি গেলে প্রায় ৩ থেকে ৪’শ গজ দূর থেকে পুলিশ আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর গুলি করে। এ সময় আব্দুল আহাদের বুক চিরে একটি গুলি পিছন দিক দিয়ে বেরিয়ে যায়। মহম্মদপুর থানার সামনেই শহিদ হন আব্দুল আহাদ আলী।
সূত্র- বাসস, দেশসেবার স্বপ্ন পূরণ না হলেও দেশের জন্যই প্রাণ দিলেন আহাদ (Archived)