শুক্রবার (১৯ জুলাই) ইমরানের অফিস ডিউটি ছিল সকাল ৮টা থেকে। কিন্তু সে (স্ত্রী) অসুস্থ থাকায় সকালে অফিসে যায়নি। অফিসে স্ত্রীর অসুস্থতার কথা জানিয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে যাবে বলে জানায়। অফিস থেকেও যাওয়ার চাপ ছিল না। অফিস থেকে জানিয়েছিল, পরিস্থিতি ভালো হলে যেন যায়। কিন্তু দুপুরের খাবারের পর স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে বলে, নতুন চাকরি। কাজে যোগ না দিলে যদি চাকরি চলে যায়? বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে স্ত্রীকে রাতের খাবার তৈরি করতে বলে বাইরের পরিস্থিতি দেখতে যায়। সঙ্গে কয়টা টাকাও নিয়ে যায় স্ত্রীর ওষুধ কিনে আনার জন্য। এভাবে সময় গড়াতে থাকে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে শ্বশুর নজরুল ইসলাম শান্তা আক্তারকে মোবাইলে জানায় ইমরানের অসুস্থতার কথা।

শান্তা বলেন, পুরো গণ্ডগোলের মধ্যে আমি হাসপাতালে গিয়ে খুঁজতে খুঁজতে দেখি আমার ইমরান লাশ হয়ে পড়ে আছে। গুলি এত কাছ থেকে করা হয়েছে যে নাড়িভুঁড়ি বাইরে বেড়িয়ে এসেছে।

সূত্র- দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, ‘এক অচেনা লোক ফোন দিয়ে বলল ইমরান হাসপাতালে, গিয়ে দেখি রক্তে ভাসছে’ (Archived)

July Massacre