মেহেদী হাসান গত ১৯ জুলাই বিকেল পাঁচটার দিকে যাত্রাবাড়ী থানার কুতুবখালী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জুরাইন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী, ২০০৭ সালের ১৪ জুলাই মেহেদীর জন্ম। অর্থাৎ, তার বয়স ১৭ বছর। তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের নথিতে মেহেদীর বয়স ২০ বছর লেখা হয়েছে।
মেহেদীর মা পারভীন আক্তার বললেন, ১৮ জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে মেহেদীর হাতে ছররা গুলি লেগেছিল। ১৯ জুলাই ছেলে যাতে ঘর থেকে বের হতে না পারে তাই মেহের আলী দরজায় তালা দিয়ে রেখেছিলেন। তবে মেহেদী আন্দোলনে যাওয়ার জন্য জেদ করতে থাকে। লোহার তাওয়া দিয়ে দরজা-জানালায় আঘাত করতে থাকে। পরে পারভীন আক্তারই ছেলেকে বাইরে যেতে অনুমতি দিয়েছিলেন।
ছেলে দেখতে খুব সুন্দর ছিল উল্লেখ করে পারভীন আক্তার বললেন, ‘আমার পুতের বুকের মধ্যে এক সাইডেই তিনটি গুলি করে। এখন আর জানালা বা দরজায় দাঁড়ায়ে মা বলে কেউ ডাক দেয় না। পেছন দিয়া জাপটে ধরে না। সংসার আগলে রাখা পুতটারেই ওরা মাইরা ফালাইছে।’
সূত্র- প্রথম আলো , “গুলিতে নিহত ছেলে-স্বামী, ঘরে অভাব, কী করবেন জানেন না তাঁরা” (Archived)