৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার কাছে গুলিতে আক্কাস আলী মারা যান। স্ত্রী লাভলী আক্তার বললেন, ‘একমাত্র আমি জানি, আমার সংসার কেমনে চলতাছে। মা-ছেলে একবেলা খাই তো আরেকবেলা খাই না। বাসাভাড়া বাকি আছে। আমার বা স্বামীর পরিবারের আর্থিক অবস্থাও ভালো না।’
৫ আগস্ট কারখানা থেকে দুপুরে বাসায় ফেরেন আক্কাস আলী। লাভলী আক্তার জানালেন, স্বামী বাসায় ফিরে বলেছিলেন তাঁর ভালো লাগছে না। আন্দোলনের জন্য কারখানার কাজ একদম কমে গেছে। সেদিন আক্কাস আলী ভাত খেয়ে ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই বাসা থেকে বের হন। মানুষের ভিড়ে ছেলে একদিকে আর তিনি একদিকে চলে যান।
লাভলী আক্তার বলেন, স্বামী গুলি খাইছে শুনে প্রথমেই মনে হয় ছেলের শরীরেও গুলি লাগল কি না। তারপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এক স্বজন স্বামী মারা গেছেন বলে জানান।
সূত্র- প্রথম আলো , “গুলিতে নিহত ছেলে-স্বামী, ঘরে অভাব, কী করবেন জানেন না তাঁরা” (Archived)