স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের আনন্দে ভাসছে যখন পুরো দেশ, ঠিক সেই বিকেলেই আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে নিভে যায় তৌহিদুল ইসলাম রানার (২৮) জীবন প্রদীপ।

রানার বাবা জব্বার মোল্যা (৬০) জানান, ৫ আগস্ট বেলা ১২টায় কথা হয় রানার সাথে। ও বলে, ‘ভাল খবর আছে, সেনাপ্রধান ভাষন দেবেন।’ বিকেল সাড়ে চারটায় তাকে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করে। বুঝতে পারি আনন্দ মিছিল করছে, ও নেতৃত্ব দিচ্ছে। মাগরিবের পর রিং দিলেও রিং হয়, কিন্তু কেউ রিসিভ করে না। বারবার রিং দিয়ে না পেয়ে বড় ছেলেকে বলি। সেও খুঁজতে শুরু করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ভোর চারটার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রানার মরদেহ খুঁজে পায় জাহিদ। তার উরুতে গুলি লেগেছিল। কে বা কারা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলো সেটা আর জানা যায়নি। কিভাবে গুলি লেগেছিলো তাও জানা যায়নি।

সূত্র- বিএসএস, “বাবাকে ‘ভাল খবর’ দিয়ে চিরতরে হারিয়ে গেলেন গার্মেন্টস কর্মী রানা” (Archived)

July Massacre