‘আমার তামিম আমারে ফাঁকি দিয়া চইলা গেছে বাবা। ১১টা দিন তামিম আমারে মা কইয়া ডাকে না। আমি এই কষ্ট কোথায় রাখব বাবা!’ কাঁদতে কাঁদতে এভাবেই ছেলের জন্য আহাজারি করছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী আহসান হাবিব তামিমের মা রাজিয়া সুলতানা।

গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে চলা সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তামিম। তিনি জবির গণিত বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ছেলেকে হারিয়ে এখন পাগলপ্রায় তার বাবা-মা।

তামিমের পরিবার জানায়, ছোট থেকেই মেধাবী তামিম রাজনীতি সচেতন ছিলেন। ঢাকাতেই বেড়ে ওঠার কারণে ছিলেন অন্যদের থেকে ভিন্ন। স্কুল জীবন থেকেই যুক্ত ছিলেন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। বিশ্ববিদ্যালয়েও যুক্ত হন শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। স্বপ্ন ছিল দেশের জন্য ভালো কিছু করার।

সূত্র- সমকাল, ছেলে ১১টা দিন আমারে মা কইয়া ডাকে না (Archived)