যমুনা নদীর ভাঙনে বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পর গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন গ্রামে নানা কিতাব আলী শেখের বাড়িতে আশ্রয় নেয় ইমনের পরিবার। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় ইমনের ভ্যানচালক বাবা জুলহাস হোসেন মারা যান। মা রিনা বেগম মানুষের বাসায় কাজ করে সন্তানদের বড় করেন। ইমনকে নিয়ে আনেক আশা ছিল মা রিনা বেগমের। চার ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় হওয়ায় অল্প বয়সেই সংসারের হাল ধরতে হয় তাকে। টিউশনি করে নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি সংসার চালিয়ে ছোট তিন ভাইবোনকেও স্কুলে ভর্তি করায় ইমন। ইমন স্বপ্ন দেখতেন, একদিন সংসারের দুঃখ দূর করবেন।

ইমনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, কোটা বিরোধী আন্দোলনে মির্জাপুরের গোড়াই এলাকায় মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিল ইমন। সেই মিছিলে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন তিনি। গুলি করেও শান্ত হয়নি পুলিশ, তাকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাথাড়ি লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এসময় তার বন্ধুরা আহত ইমনকে হাসপাতালে নিতে চাইলেও পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ সেখান থেকে সরে গেলে গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে গত ৬ তারিখে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার ১৩ দিন পর তার মৃত্যু হয়।

সূত্র- দেশ রূপান্তর, সংসারের দুঃখ দূর করা হলো না ইমনের, গুলিবিদ্ধ হওয়ার ১৩ দিন পর মৃত্যু (Archived)