পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া (২২)। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের সময় গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। রাতেই তাঁর লাশ নিয়ে পটুয়াখালীর নিজ বাড়িতে যান মা–বাবা।

হৃদয় চন্দ্র পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ঘটকের আন্দুয়া গ্রামের রতন চন্দ্র তরুয়া ও অর্চনা রানীর ছেলে। দুই ভাই–বোনের মধ্যে তিনি ছোট ছিলেন। পড়তেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষে। মির্জাগঞ্জে গ্রামের বাড়ি হলেও তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে পটুয়াখালী শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের সময় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ হন হৃদয়। তাঁর সহপাঠীদের বরাতে হৃদয়ের বন্ধুরা জানান, বিকেলে টিউশনি করে চট্টগ্রামের শহরের দিকে আসছিলেন হৃদয়। পথে সংঘর্ষ চলছিল। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মধ্যে পড়ে তিনি দৌড়ানোর চেষ্টা করেন। তখন গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঢাকায় নেওয়া হয়।

সূত্র- প্রথম আলো, ‘একটি গুলিতে সব স্বপ্ন শেষ’ (Archived)