সুমী আক্তার (২৮) এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চুপচাপ, নির্বাক। ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গুলিতে মারা যাওয়া অটোমোবাইলস দোকানের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দীনের (৩৫) স্ত্রী তিনি। স্বামীর মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই মুখে দানাপানি নিচ্ছেন না সুমী। পরিবারের সবাই জোর করায় দুই দিন ধরে সামান্য খাবার মুখে তুলে দিতে পারলেও কারও সঙ্গে কোনো কথা বলছেন না। মায়ের মতোই চুপসে গেছে তাঁর ১০ বছরের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস। বাবার আকস্মিক মৃত্যুর খবরে ছোট্ট মেয়েটিও শোকে মুষড়ে পড়েছে।
জসিম উত্তরায় একটি অটোমোবাইলসের দোকানে চাকরি করতেন। থাকতেন ওই দোকানের গ্যারেজেই। ১৮ জুলাই মালিকের নির্দেশে তিনি ও অপর এক সহকর্মী উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে যান গাড়ির কিছু যন্ত্রাংশ কিনতে। কিনে আসার পথে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলেই মারা যান জসিম। তাঁর বুকে একটি বুলেট বিদ্ধ হয়েছিল। মুখমণ্ডল ও সারা শরীরে ছিল অসংখ্য রাবার বুলেটের ক্ষত। খবর পেয়ে তিনি (নিজাম) চট্টগ্রামের কর্মস্থল থেকে ছুটে যান ঢাকায়। ১৮ জুলাই রাতে লাশ গ্রহণ করে ১৯ জুলাই ভোরে নিয়ে আসেন বাড়িতে। পরে সেখানেই জানাজার পর দাফন হয়।
সূত্র- প্রথম আলো, ‘এখন আমি কার কাছে নালিশ দেব, বাবা…’ (Archived)