চলতি মাসের শেষের দিকে সন্তানের জন্ম হবে, সেই অপেক্ষায় ছিলেন নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ভূঁইয়াপাড়া গ্রামের জিন্নাতুল ইসলাম ও রিনা আক্তার দম্পতি। তবে গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান জিন্নাতুল। অন্তঃসত্ত্বা রিনা এখন অনাগত সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায়।  

গত ৫ আগস্ট দুপুরে গাজীপুরের বাসন থানার সামনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নিলে জিন্নাতুলের পেট ও ঊরুতে দুটি গুলি লাগে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

জিন্নাতুলের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘৫ আগস্ট দুপুরবেলা বাসন থানার সামনে ভাই গুলিবিদ্ধ হয়। পরে সন্ধ্যার সময় একজন ফোন করে জানায়, ভাই গুলিবিদ্ধ হইছে। হাসপাতালে গিয়া তার মরদেহ পাই। বড় ভাই হইয়া ছোট ভাইয়ের লাশ দেখা কতটা কষ্টের, তা বোঝানো যাবে না ভাই। আমার ভাইয়ের সন্তানটা বাবার মুখ দেখতে পারত না, এর চেয়ে কষ্টের কিছু আছে?’

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে জিন্নাতুলের পরিবারকে কিছু আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। এই পরিবারের পাশে থাকতে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।  

সূত্র- প্রথম আলো, ‘পেটের সন্তান বাবাকে দেখার আগেই তাঁকে হারাল’ (Archived)