‘ছবি তুলে আর কী করবেন। প্রশাসন চাইলে কি এসব বন্ধ করতে পারত না? আমার তো সব শেষ হয়ে গেছে।’ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে লাশঘরের সামনে বসেছিলেন সীমা আকতার। সাংবাদিকদের ছবি তুলতে দেখে হঠাৎ প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। কথা বলতে বলতে চোখ মুছছিলেন। লাশঘরে তাঁর স্বামী মো. ফারুকের মরদেহ পড়ে আছে। ফারুক মুরাদপুরে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত হন। তাঁর বুকে গুলি লেগেছে।

ফারুক মুরাদপুরে একটা ফার্নিচার কারখানায় কাজ করেন। ১৬ জুলাই বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কারখানা থেকে চা খেতে বের হলে মুরাদপুর এলাকায় বুকে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এ সময় কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে তুমুল মারামারি চলছিল। আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সূত্র- প্রথম আলো, ‘আমার তো সব শেষ হয়ে গেছে’ (Archived)