গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ঢাকা মেডিকেলে অসংখ্য লাশের মধ্যে পড়েছিল শহিদ মো. রনির লাশ। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে খোঁজাখুঁজির পর মেডিকেলের ইমার্জেন্সি বিভাগের উত্তর পাশে বেশকিছু লাশের মধ্যে মিলল তার লাশ। পুরো মেডিকেল জুড়ে ছিল অনেক লাশ ও আহত মানুষের আহাজারি।
শহিদ রনির পিতা মো: হারুন বলেন, রনি ঢাকার গুলিস্তান এলাকার একটি মেসে থাকতো। গত ৫ আগস্ট রনি কাজে যায়নি। সকাল দশটার দিকে রনি আমাকে মুঠোফোনে বলে, আব্বা ঘর থেকে বের হইয়েন না, ঢাকার অবস্থা খুব খারাপ। এখনো নিচে নেমে খাবার খেতে যেতে পারিনি। তখন রনির পিতা বলেন, আমরা ঠিক আছি, তুমি কিন্তু নিচে নেমো না, ঘর থেকে বের হইও না বাবা। এটাই ছিলো ছেলের সাথে আমার শেষ কথা।
রনির পিতা আরো বলেন, শেষ পর্যন্ত বেলা এগারোটার দিকে রনিসহ কয়েকজন নিচে খাবার খেতে নামে। খাওয়া শেষে গোলাগুলির মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয় রনি। তার তলপেটে একটি গুলি লাগে। পরে ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে জানতে পারি ছেলের মৃত্যুর খবর।
সূত্র- বিএসএস, “ঢাকা মেডিকেলে অনেক লাশের মধ্যে পড়েছিল শহিদ রনির লাশ ” (Archived)