আমার বাবাকে কারা এভাবে দুনিয়া থেকে নিয়ে গেল তাদের কি বিচার হবে না? এ কথা বলেই বারবার আর্তনাদ করছিল নিহত রাকিবের মা সুইটি আক্তার। আমার বাবার লাশটাও গ্রামে আনতে দেয়নি ওরা। এ কথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন কোটা আন্দোলনে নিহত নির্মাণ শ্রমিক রাকিবের মা সুইটি আক্তার।

নবাবগঞ্জ উপজেলার কামারখোলা গ্রামে মো. রাকিবের (২৩) বাড়ি। সেখানে গিয়ে এমনই দৃশ্য দেখা যায়। গত ১৯ জুলাই রাকিবের গলায় গুলিবিদ্ধ হলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। সেখানে তার লাশ ফেলে রাখা হয়। পরের দিন ২০ জুলাই সন্ধ্যায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্ত করে।

এর দুই দিন পর ২২ জুলাই পরিবারের কাছে লাশ স্থানান্তর করা হয়। এ সময় পুলিশ তাদের লাশ নিয়ে দ্রুত সরে যেতে বলে। ৩০ মিনিটের মধ্যে লাশ দাফনের জন্য বলা হয়। নিরুপায় হয়ে লাশ আর নবাবগঞ্জ আনতে পারেনি। পরে গাজীপুরের সখীপুরেই তাড়াহুড়া করে লাশ দাফন করা হয়।

সূত্র- যুগান্তর, কোটা আন্দোলনে নিহত রাকিবের মায়ের আর্তনাদ (Archived)